Breaking News

মুক্ত হয়ে যা বললেন মায়ের প্রাণ নেবার মিথ্যা কলঙ্ক পাওয়া সাদ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. শাজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন সাদ।

এ সময় কারা ফটকের সামনে সাদ সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করা হয়েছে। আমি যে নির্দোষ সেটা সবার কাছে উন্মোচিত হয়েছে। যারা প্রকৃত হত্যাকারী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

র‌্যাবের কাছে স্বীকারোক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি স্বীকারোক্তি দেইনি। তারা কেন দিয়েছে, কী জন্য দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই।

গত ১০ নভেম্বর দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে সাদের মা উম্মে সালমাকে হত্যা করে মরদেহ ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়। উম্মে সালমা ওই এলাকার মাদরাসা শিক্ষক আজিজুর রহমানের স্ত্রী। ঘটনার দুই দিন পর মাকে হত্যার অভিযোগে মাদরাসাপড়ুয়া সাদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সে সময় র‌্যাব জানিয়েছিল, সাদ হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হাত খরচের টাকা এবং প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে নিজের মাকে হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখেন তিনি।

এ ঘটনায় সাদকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। কিন্তু এরপর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। পুলিশ জানায়, মা হত্যায় সাদের সম্পৃক্ততা নেই। ১৫ নভেম্বর সালমার বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া এবং তার দুই সহযোগী মোসলেম ও সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ওই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাসা ছাড়তে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে উম্মে সালমাকে হত্যা করেন মাবিয়া।

হত্যাকাণ্ডে সাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি পুলিশ–এমন তথ্যের পর বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করে পরিবার। গত বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে আবারও আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে জামিন মেলে।

সাদের আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচী জানান, ১৪ দিন কারাবাসের পর তার জামিন দিয়েছেন জেলা জজ। তাকে হত্যা মামলা থেকেও রেহাই দেওয়া হবে।

জেল সুপার ফারুক আহমেদ জানান, আদালতের নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাদকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

About Admin

Check Also

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই নিজেই আসামি কামরুল ইসলাম

গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট কামরুল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

No comments to show.