বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ক্ষেত্রে অনুন্নত দেশের শিক্ষকরা বেশ পিছিয়ে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের মতো বৃহৎ অর্থনীতি এবং পরাশক্তিধর রাষ্ট্রে শিক্ষকদের বেতন নাকি বন্দিদের চেয়েও কম। শুধু তাই নয়, অবাক করার মতো বিষয় হলো— বন্দি আসামিরা কারারক্ষীদের চেয়েও বেশি বেতন পান।
দ্য টেলিগ্রাফের বরাত দিয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিচিত্রকর এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
তবে সাধারণত কারাগারে কয়েদিরা যেভাবে আটক থাকেন, যুক্তরাজ্যে সেটা কিছু ভিন্ন।জানাযুক্তরাজ্যে কিছু স্বল্প-নিরাপত্তার খোলা কারাগারের বন্দিদের কাজের জন্য বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তারা দিনের শেষে আবার কারাগারে ফিরে আসেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি বন্দিদের পুনর্বাসন এবং তাদের সমাজে ফেরার জন্য প্রস্তুত করার একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ। তবে বন্দি এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে বেতনের এই পার্থক্য যুক্তরাজ্যে আয়ের বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বাংলাদেশের শীর্ষ ক্যাসিনোর একজন বড় বিজয়ী হোন
খুব দ্রুত $100 আয় করার সেরা উপায়
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, দেশটির একজন শীর্ষ আয়ের কয়েদির মোট বেতন যেখানে বছরে ৩৬ হাজার ৭১৫ পাউন্ড। সেখানে একজন কারারক্ষীর বেতন বছরে ২৮ হাজার পাউন্ড। আর প্রাথমিক শিক্ষকের ৩৬ হাজার ২০০ পাউন্ড, ধাত্রীর বেতন ৩৬ হাজার ৬২২ পাউন্ড, বায়োকেমিস্ট ৩৬ হাজার ৫৮৬ পাউন্ড, সাইকোথেরাপিস্ট ৩৬ হাজার ৬০২ পাউন্ড।
যুক্তরাজ্য সরকার জানায়, তাদের দেশে আরও দুজন কয়েদি আছেন যাদের জরিমানা ও কর কেটে নেওয়ার পর বার্ষিক বেতন ছিল ৩০ হাজার পাউন্ড। এ ছাড়া আরও সাতজন কয়েদির বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে বছরে ২২ হাজার ৯০০ থেকে ৩০ হাজার পাউন্ড বেতন ঢুকেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েদিরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। তবে বেশি আয়ের জন্য কয়েদিদের কাছে অন্যতম আকর্ষনীয় হলো লরিচালকের কাজ।
কারাগার সংশ্লিষ্ট এক মুখপাত্র বলেন, কিছু অপরাধী তাদের সাজার শেষের দিকে অস্থায়ী লাইসেন্সে মুক্তি পায়। এতে দেখা যায় যে তারা কারাগারে ফিরে আসার আগে বাইরে গিয়ে কিছু কাজ করে। তাদের আয়ের অংশ থেকে কর, আদালতের জরিমানাসহ ৪০ শতাংশ অর্থ কেটে নিয়ে দাতব্য সংস্থায় দেওয়া হয়।