রাজধানীর উত্তরায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের হামলায় ৯২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছিলেন শিক্ষার্থী।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামক একটি সংগঠন এ তথ্য জানায়। সংগঠনটির মুখপাত্র ফান্তাসির মাহমুদ উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক সালেহ মাহমুদ রায়হান, সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ সামরান এবং উত্তরায় নিহত ১০ জন শহীদের স্বজনরা।
ফান্তাসির মাহমুদ বলেন, “ঢাকায় সবচেয়ে বড় ও সহিংস আন্দোলন উত্তরা এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় হয়েছিল। অনেকে বলেন, ৫ আগস্ট উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে মিছিল না হলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হতো না। উত্তরায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন। আমরা তাদের স্মৃতি এবং অবদান ধরে রাখতে শহীদদের একটি তালিকা তৈরির কাজ করছি। এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি, উত্তরা এলাকায় ৯২ জন শহীদ হয়েছেন। আমাদের এই কাজ চলছে।”
সংগঠনটি জানায়, উত্তরা শহীদ ৯২ জনের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন চাকরিজীবী, ১০ জন ব্যবসায়ী, ৫ জন গাড়ি বা রিকশাচালক, ২ জন মসজিদের ইমাম, ১ জন ডাক্তার, ১১ জন অজ্ঞাত এবং ১৯ জন অন্যান্য পেশার ছিলেন।
এসময় শহীদদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, “এই ৯২ জনের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি যদি না করা যায়, তবে তা হবে জাতির জন্য এক বড় ব্যর্থতা। শহীদদের মেধা ও আত্মত্যাগ জাতির জন্য স্মরণীয় করে রাখতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।”