ফারুকী আউট আসিফ মাহাতাব স্যার ইন! সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কয়েক ঘন্টা থেকে এই রকম স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। তবে সত্যতা পাওয়া যায় নাই। অনেকে আশা করছেন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ভাষণ দেবেন তিনি। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে এই ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ১০ নভেম্বর নতুন তিনজন উপদেষ্টা শপথ নেয়ার পর এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২৪ জন।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে শুরু করে নেটিজেনদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, ফারুকীরা কীভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসে বলে তিনি প্রশ্ন করেছেন।
আন্দোলনের সময়ে নীরব থেকে নিজের গা বাঁচিয়ে চলা লোকদেরকে উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চান না। ফারুকী ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্য তুষামদি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি ফারুকীকে বিগত এই ৩৬ জুলাই কোন সময়ে সরাসরি সরকারের বিপক্ষে গিয়ে এই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের পক্ষে কখনও অবস্থান নেননি। তিনি তার পুরো সময়ে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্য যেখানে তার মতো করে তুষামদি করা দরকার সেভাবে করেছে।’ এরপর বলেন,‘ হতে পারে একটা লাইন লিখে, হতে পারে একটা ছবি তুলে।
সবাই এক কাতারে ভাই ভাই সহমত ভাই বলে তোষামোদি করবে না। কেউ একটা লাইন লিখে কেউ একটা শব্দ বলে তোষামোদি করে।’‘এই ফারুকীরা কীভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসে। আমাদের জায়গা থেকে আমরা সেদিন স্পষ্ট করে বিরোধিতা জানিয়েছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলি এরকম নীরব থাকা কঠিন সময়ে নিজের গা বাঁচিয়ে চলা লোকদেরকে উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চায় না। তারা কোনোদিন আন্দোলনের স্পিরিটকে ধারণ করতে পারে না।’ সারজিসের কথায়, ‘যদি পারতো তাহলে তারা তখন তাদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাতো। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি যেই মানুষগুলো সামগ্রিক অভ্যুত্থানকে ধারণ করেছিল ধারণ করছে এবং স্পিরিটটিকে সামনের সময়েও ধারণ করার মতো মানসিকতা রাখে শুধু তাদেরকে দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিচালনা হওয়া উচিত।’ শেষে তিনি বলেন, ‘যেই মানুষটা সামনাসামনি রাজপথে নেমে না হোক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হোক দেশে থেকে দেশের বাইরে থেকে হোক সমর্থন জানিয়েছে সে সময়ে সৎ সাহস দেখিয়েছে সেই মানুষটার এই জায়গায় প্রতিনিধিত্ব করা উচিত। সরকারের ভালোটাকে ভালো বলবো। সীমাবদ্ধতাকে সরাসরি কটাক্ষ করবো।’